আমার প্রিয় গোবিন্দগঞ্জ
ইংরেজ শাসন আমলে ভারত উপমহাদেশে থানা সৃষ্টির প্রাক্কালে গোবিন্দগঞ্জ থানা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৭৯৩ সালে গঠিত এই গোবিন্দগঞ্জ থানা আজকের মতো এত ছোট ছিল না তার রুপ। পাশ্ববর্তী উপজেলা পলাশবাড়ী ও সাঘাটা নিয়ে গঠিত হয়েছিল সেই সময়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা। ১৭৯৩ সালে ৩২৭ বর্গ মাইল এলাকা নিয়ে গঠিত থানা ১৯৮১ সালে এসে ১৭৬ বর্গ মাইল এলাকা নিয়ে বর্তমান রুপে অবস্থিত। ১৯০৩ সালে সাঘাটা ও ১৯১৯ সালে পলাশবাড়ী থানা গঠনের আগ পর্যন্ত এই দুই থানা গোবিন্দগঞ্জ থানার এলাকার সাথেই যুক্ত ছিল। গোবিন্দগঞ্জ থানা প্রশাসনিক পূর্ণবিন্যাসের কারনে কখনো থানা আবার কখনো উপজেলা নামে নামকরণকৃত হলেও মুল নাম গোবিন্দগঞ্জ ঠিক থেকে গেছে। গোবিন্দগঞ্জ নামটি কিভাবে আমাদের হলো তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবুও ইতিহাসের বিভিন্ন উৎস থেকে গোবিন্দগঞ্জ নামকরণের যে তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায় তা তুলে ধরার নিমিত্তেই এই লেখার প্রয়াস। সাঁওতালী গ্রন্থ সত্যংশিবং সনাতন পুরাণে গোবিন্দগঞ্জের পাশ্ববর্তী প্রাচীণ পৌন্ড্রবর্ধন রাজ্যে ১০ জন রাজা স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করছিল বলে উল্লেখ আছে। তাদের মধ্যে রাজা গোবিন্দ নামের একজন রাজা ছিল। জনশ্রুতি আছে তার নামেই গোবিন্দগঞ্জ নামকরণ হয়েছে। যদিও এই জনশ্রুতি কে মেনে নেয়া কঠিন। কারণ, জনশ্রুত রাজা গোবিন্দ ঐতিহাসিক কি না তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের সন্দেহ আছে। বর্তমান পৌর শহরে পুরাতন গোবিন্দগঞ্জ নামে খ্যাত এলাকার মৌজার নাম গোবিন্দপুর ও চক গোবিন্দ। চক গোবিন্দ মৌজায় মুঘল আমলের পূর্বে নির্মিত বিখ্যাত গোবিন্দ মন্দির ছিল। সেই মন্দিরে প্রতিদিন বিগ্রহ দর্শন ও পুজা দেয়ার জন্য শত শত লোক আসতো। কালক্রমেই এই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই গোবিন্দগঞ্জ নামকরণ করা হয় বলে অনেকেই ধারণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ কৃষি শষ্যে প্রাচীনকাল থেকেই প্রসিদ্ধ ছিল। বর্তমানে মৃত করতোয়া প্রাচীনকালে প্রমত্ব করতোয়া ছিল। পুরাতন বন্দর এলাকায় এই করতোয়া নদীর তীরে মুঘল আমলে বিশাল বানিজ্য কেন্দ্র গড়ে উঠে। মুসলিমরা ভারত বর্ষে আগমনের পর ভারতে আরবি ও ফার্সী শব্দের ব্যবহার শুরু হয়। গঞ্জ একটি ফার্সী শব্দ। হাট, বাজার, গোলা, বন্দর, শষ্য ক্রয় কেন্দ্র প্রভৃতি নামে গঞ্জ শব্দটি ব্যবহার হয়। গোবিন্দগঞ্জ নামের সাথে গঞ্জ যুক্ত থাকায় মুঘল আমলের বানিজ্য কেন্দ্র স্থলের দুটি মৌজার নাম চক গোবিন্দ ও গোবিন্দপুর এর গোবিন্দ এর সাথে গঞ্জ যুক্ত হয়েই গোবিন্দগঞ্জ নামকরণ হয় বলে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন। গোবিন্দগঞ্জের অপর নাম গোলাপবাগ। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের থানা মোড় চার মাথা থেকে দক্ষিণ পশ্চিম এলাকা গোলাপবাগ নামে পরিচিত। বৃটিশ শাসর কালে বর্ধনকোটের জমিদার শ্যামকিশোর বর্তমান বাজার এলাকায় একটি বিশাল গোলাপ বাগান তৈরি করেন। সেই গোলাপ বাগান কালক্রমে গোলাপবাগ নাম ধারণ করেছে। গোবিন্দগঞ্জ নামকরণের নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ থাকলেও গোবিন্দগঞ্জ ইতিহাস: অতীত ও বর্তমান গ্রন্থের লেখক গোপাল সরকারের মতে গোবিন্দ মন্দির থেকেই গোবিন্দগঞ্জ নামকরণ হয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এই লেখার লেখক মোস্তফা কামাল সুমন সহ গোবিন্দগঞ্জের অনেক গুনীজন ও বয়জ্যেষ্ঠ্যরা গোপাল সরকারের মতের সমর্থনে মনে করেন, প্রাচীন গোবিন্দ মন্দির থেকে চক গোবিন্দ ও গোবিন্দপুর নামের দুটি মৌজার নাম হয়। পরবর্তীতে মুসলিম শাসকগণ ভারত বর্ষে আগমনের পরে বিধৌত করতোয়া নদীর যেখানে বানিজ্য কেন্দ্র গড়ে তোলে সেই মৌজা চক গোবিন্দ ও গোবিন্দপুর নামের গোবিন্দ এর সাথে গঞ্জ যুক্ত হয়েই গোবিন্দগঞ্জ নামের সৃষ্টি হয়।
এক নজরে গাইবান্ধা জেলাধীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য
১ =====জেলার নাম গাইবান্ধা
২ =====উপজেলার নাম গোবিন্দগঞ্জ
৩ =====উপজেলার সীমানা পূর্বে-সাঘাটা উপজেলা,পশ্চিমে-জয়পুরহাট জেলা উত্তরে-পলাশবাড়ী উপজেলা , দক্ষিণে-বগুড়া জেলা
৪ =====উপজেলার আয়তন ৪৬০.৪২ বর্গ কি.মি.
৫ =====উপজেলা সদরের আয়তন ১৪.৭৩ বর্গ কি.মি.
৬ ===== উপজেলার লোকসংখ্যা ৪,৬১,৪২৮ (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ) ক) পুরুষ ২,৩৫,৬২২ খ) মহিলা ২,২৫,৮০৬
৭ =====জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯৫৮ জন ( প্রতি বর্গ কিঃ মিটারে)
৮ =====শিল্প প্রতিষ্ঠান ক) রংপুর সুগার মিলস লি. মহিমাগঞ্জ, খ) কোচাশহর ইউনিয়নে হোসিয়ারি শিল্প
৯ =====হিমাগার ২ টি
১০ ===== ১) পুলিশ স্টেশন-১ ২) হাইওয়ে থানা-১ ৩) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র-১
১১ =====জেলা সদর হতে উপজেলা সদরের দূরত্ব ৩৮ কি.মি.
১২ =====বর্তমান উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের মূল ভবন উদ্বোধন ১৯/০৩/১৯৮৭ খ্রিঃ
১৩ =====ভূমিরুপ পলি, বরেন্দ্র
১৪ =====নদী ০১ টি (করতোয়া)
১৫ =====বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের আসন ০১ (৩২,গাইবান্ধা-৪)
১৬ =====এন ডব্লিউডি কোড নং ৫৪২৩
১৭ =====উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ফোন ও ফ্যাক্স নম্বর ০৫৪২৩-৭৫০০১ (অফিস), ০৫৪২৩-৭৫০২২ (বাসা) ০৫৪২৩-৭৫০২৪ (ফ্যাক্স),
মোবাঃ ০১৭১৮-৬১৩৬৯৫
১৮ ===== চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ এর ফোন ও ফ্যাক্স নম্বরঃ ০৫৪২৩-৭৫৩৪১ (অফিস), ০৫৪২৩-৭৫৩৪২ (বাসা) ০৫৪২৩-৭৫০২৪ (ফ্যাক্স),
মোবাঃ ০১৭১৩-৭১৬৩২৫
১৯ =====উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ১) অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, ৩২ গাইবান্ধা-৪, ২) আলহাজ প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, ৩) জনাব ফারুক কবির আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা, ৪) জনাব আতাউর রহমান সরকার, মেয়র, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা, ৫) জনাব মমতাজ উদ্দিন, সাবেক প্রিঞ্চিপাল টি টি কলেজ ও শিক্ষা অনুরাগী, ৬) জনাব অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আহমেদ, গোবিন্দগঞ্জ কোর্ট, ৭) জনাব চিনি বুলু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ৮) জনাব নির্মল সাহা শান্তি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ৯) আলী মাহবূব তালুকদার, পরিচালক , আই,সি,ডি,ডি আর-বি, ১০) মেজর রিয়াজ (বীর বিক্রম), ১১) যহির খান , মালিক, এপেক্স গ্রুপ অব কোম্পানি, ১২) জাহিদুর রহমান টুকু, প্রেসিডেন্ট গোবিন্দগঞ্জ সাংবাদিক সংস্থা, ১৩) মাহমুদুল হাসান রিপন, এক্স-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ১৪) মরহুম জনাব এম এ মোত্তালিব, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা অনুরাগী, ১৫) জনাব ফারুক প্রধান, প্রেসিডেন্ট, পৌর বি এন পি ।
২০ =====ঐতিহাসিক/দর্শনীয় স্থান- রাজা বিরাট, প্রাচীন মাস্তা মসজিদ
২১ =====মোট ঘর-বাড়ি - ১,০৭,৮৭৮ টি (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)
২২ =====ইউনিয়নের সংখ্যা-১৭ টি
১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত।
২৩ =====ইউনিয়নের ওয়ার্ড সংখ্যা - ১৫৩ টি
২৪ =====ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হয়েছে - ১ টি
২৫ ===== ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণাধীন-১ টি
২৬ ===== পৌরসভার সংখ্যা -১ টি (১৯৯৮ সালে স্থাপিত)
২৭ ===== পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা -৯ টি
২৮ ===== মৌজার সংখ্যা- ৩৩৬ টি
২৯ ===== গ্রামের সংখ্যা -৩৭৫ টি
৩০ ===== ইউনিয়ন ভূমি অফিস -১৪ টি
৩১ ===== শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
৩৩ =====ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক) মসজিদ - ৫১৮ টি, খ) মন্দির-১৫০ টি, গ) গীর্জা- ১ টি
৩৪ =====বাণিজ্যিক/তপসিলী ব্যাংক শাখা- ১ টি
৩৫ =====সিনেমা হল-৫ টি ( হীরক ও তিথি সিনেমা হল অন্যতম )
৩৬ ===== উপজেলা হাসপাতাল-০১ টি (৫০ শয্যা), উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র-১০ টি, হাসপাতালে ডাক্তারের অনুমোদিত পদ-৩৮ টি, উপজেলা হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা-২ টি, উপজেলায় ইপিআই কাভারেজ-৯৩%, জন্ম নিয়ন্ত্রণ কাভারেজ-৬৮%, উপজেলায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার-৭৬% উপজেলা হাসপাতালে আই এম সি আই চালু হয়েছে চালু আছে, উপজেলা হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন ১ টি
৩৭ =====উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প সংখ্যা-২ টি, পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা -৯ টি
৩৮ =====আদর্শ গ্রামের সংখ্যা-৪ টি, পুনর্বাসিত পরিবার সংখ্যা-৪০ টি
৩৯ ===== অর্পিত সম্পত্তির পরিমান (একরে)- ১১০৫.০৫
৪০ =====খাস জমির পরিমান (একরে)-১২১০.০৫
৪১ =====জল মহালের সংখ্যা - ১৯৫ টি
৪২ ======আবাদি জমির পরিমান -৩৭০০০ হেক্টর, এক ফসলী জমির পরিমান-১৮১৫ হেক্টর, দো- ফসলী জমির পরিমান-২২৫৭০ হেক্টর, তিন ফসলী জমির পরিমান -১১৩৬৫ হেক্টর, চার ফসলী জমির পরিমান-১০৫০ হেক্টর ।
৪৩ =====অর্থকরী ফসল- ১৫০০ হেক্টর
৪৪ =====সরকারী হাট-বাজারের সংখ্যা- ২ টি
৪৫ =====প্রধান প্রধান হাট বাজার গোলাপবাগ, কামদিয়া,কাটাবাড়ী , কোমরপুর কাটাখালী বালুয়া ,ফাঁসিতলা, মহিমাগঞ্জ হাট-বাজার
৪৬ =====সরকারী প্রাণিসম্পদ দপ্তর- ১ টি, ইউনিয়ন প্রাণি চিকিৎসা উপ-কেন্দ্র- ৩ টি
৪৭ =====স্যানিটেশন কাভারেজ- ৯৫%
৪৮ =====নলকূপের পানি পান করে -১০০%
৪৯ ===== মোট রাস্তার পরিমান- ১১৩৬ কি.মি. ; কাঁচা রাস্তা -৯০৬ কি.মি., পাকা রাস্তা - ২৪০ কি.মি., ব্রীজ/কালভার্-ট ১৩৭৫, এইচবিবি রাস্তা- ১৩ কি.মি., সিসি রাস্তা- ০২ কি.মি.
৫০ =====ডাকঘরের সংখ্যা - ২৬ টি
৫১ =====টেলিফোন এক্সচেঞ্জ- ১ টি
৫২ =====রেল স্টেশন- ১ টি ( মহিমাগঞ্জ এ )
৫৩ ===== পত্র-পত্রিকাঃ বাঙ্গালী ও কাটাখালী (দৈনিক), রাজা বিরাট (সাপ্তাহিক)
৫৪===== উপজেলায় কর্মরত এনজিও সংখ্যা- ৪০ টি - ব্র্যাক , আশা , গ্রামীণ ব্যাংক , স্বনির্ভর, অংকুর ও টিএমএমএস অন্যতম ।
১ =====জেলার নাম গাইবান্ধা
২ =====উপজেলার নাম গোবিন্দগঞ্জ
৩ =====উপজেলার সীমানা পূর্বে-সাঘাটা উপজেলা,পশ্চিমে-জয়পুরহাট জেলা উত্তরে-পলাশবাড়ী উপজেলা , দক্ষিণে-বগুড়া জেলা
৪ =====উপজেলার আয়তন ৪৬০.৪২ বর্গ কি.মি.
৫ =====উপজেলা সদরের আয়তন ১৪.৭৩ বর্গ কি.মি.
৬ ===== উপজেলার লোকসংখ্যা ৪,৬১,৪২৮ (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ) ক) পুরুষ ২,৩৫,৬২২ খ) মহিলা ২,২৫,৮০৬
৭ =====জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯৫৮ জন ( প্রতি বর্গ কিঃ মিটারে)
৮ =====শিল্প প্রতিষ্ঠান ক) রংপুর সুগার মিলস লি. মহিমাগঞ্জ, খ) কোচাশহর ইউনিয়নে হোসিয়ারি শিল্প
৯ =====হিমাগার ২ টি
১০ ===== ১) পুলিশ স্টেশন-১ ২) হাইওয়ে থানা-১ ৩) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র-১
১১ =====জেলা সদর হতে উপজেলা সদরের দূরত্ব ৩৮ কি.মি.
১২ =====বর্তমান উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের মূল ভবন উদ্বোধন ১৯/০৩/১৯৮৭ খ্রিঃ
১৩ =====ভূমিরুপ পলি, বরেন্দ্র
১৪ =====নদী ০১ টি (করতোয়া)
১৫ =====বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের আসন ০১ (৩২,গাইবান্ধা-৪)
১৬ =====এন ডব্লিউডি কোড নং ৫৪২৩
১৭ =====উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ফোন ও ফ্যাক্স নম্বর ০৫৪২৩-৭৫০০১ (অফিস), ০৫৪২৩-৭৫০২২ (বাসা) ০৫৪২৩-৭৫০২৪ (ফ্যাক্স),
মোবাঃ ০১৭১৮-৬১৩৬৯৫
১৮ ===== চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ এর ফোন ও ফ্যাক্স নম্বরঃ ০৫৪২৩-৭৫৩৪১ (অফিস), ০৫৪২৩-৭৫৩৪২ (বাসা) ০৫৪২৩-৭৫০২৪ (ফ্যাক্স),
মোবাঃ ০১৭১৩-৭১৬৩২৫
১৯ =====উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ১) অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, ৩২ গাইবান্ধা-৪, ২) আলহাজ প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, ৩) জনাব ফারুক কবির আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা, ৪) জনাব আতাউর রহমান সরকার, মেয়র, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা, ৫) জনাব মমতাজ উদ্দিন, সাবেক প্রিঞ্চিপাল টি টি কলেজ ও শিক্ষা অনুরাগী, ৬) জনাব অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আহমেদ, গোবিন্দগঞ্জ কোর্ট, ৭) জনাব চিনি বুলু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ৮) জনাব নির্মল সাহা শান্তি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ৯) আলী মাহবূব তালুকদার, পরিচালক , আই,সি,ডি,ডি আর-বি, ১০) মেজর রিয়াজ (বীর বিক্রম), ১১) যহির খান , মালিক, এপেক্স গ্রুপ অব কোম্পানি, ১২) জাহিদুর রহমান টুকু, প্রেসিডেন্ট গোবিন্দগঞ্জ সাংবাদিক সংস্থা, ১৩) মাহমুদুল হাসান রিপন, এক্স-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ১৪) মরহুম জনাব এম এ মোত্তালিব, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষা অনুরাগী, ১৫) জনাব ফারুক প্রধান, প্রেসিডেন্ট, পৌর বি এন পি ।
২০ =====ঐতিহাসিক/দর্শনীয় স্থান- রাজা বিরাট, প্রাচীন মাস্তা মসজিদ
২১ =====মোট ঘর-বাড়ি - ১,০৭,৮৭৮ টি (২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)
২২ =====ইউনিয়নের সংখ্যা-১৭ টি
১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা গঠিত।
- মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন
- কামদিয়া ইউনিয়ন
- শাখাহার ইউনিয়ন
- কাটাবাড়ী ইউনিয়ন
- রাজাহার ইউনিয়ন
- সাপমারা ইউনিয়ন
- দরবস্ত ইউনিয়ন
- তালুককানুপুর ইউনিয়ন
- নাকাই ইউনিয়ন
- হরিরামপুর ইউনিয়ন
- রাখালবুরুজ ইউনিয়ন
- ফুলবাড়ী ইউনিয়ন
- গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন
- কামারদহ ইউনিয়ন
- কোচাশহর ইউনিয়ন
- শিবপুর ইউনিয়ন
- শালমারা ইউনিয়ন
২৩ =====ইউনিয়নের ওয়ার্ড সংখ্যা - ১৫৩ টি
২৪ =====ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হয়েছে - ১ টি
২৫ ===== ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণাধীন-১ টি
২৬ ===== পৌরসভার সংখ্যা -১ টি (১৯৯৮ সালে স্থাপিত)
২৭ ===== পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা -৯ টি
২৮ ===== মৌজার সংখ্যা- ৩৩৬ টি
২৯ ===== গ্রামের সংখ্যা -৩৭৫ টি
৩০ ===== ইউনিয়ন ভূমি অফিস -১৪ টি
৩১ ===== শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ- ৭
- ডিগ্রী কলেজ - ৫
- কারিগরী কলেজ -১
- বিপিএড কলেজ - ১
- এমপিও ভূক্তি ব্যতীত কলেজ -২
- স্কুল ও কলেজ -৩
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ১৩
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় -৭০
- আলিয়া মাদরাসা - ১
- সিনিয়র মাদরাসা(ফাজিল)- ৭
- সিনিয়র মাদরাসা (আলিম) - ৭
- দাখিল মাদরাসা- ৪৮
- স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা- ১২০
- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১৫৩
- হাফেজিয়া মাদরাসা- ১৬
- কওমী মাদরাসা- ৩
- রেজি. বে-সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয় - ৯৪
- কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় -৬
- কিন্ডার গার্টেন স্কুল- ২৯
- কিন্ডার গার্টেন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল - ৩০
৩৩ =====ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক) মসজিদ - ৫১৮ টি, খ) মন্দির-১৫০ টি, গ) গীর্জা- ১ টি
৩৪ =====বাণিজ্যিক/তপসিলী ব্যাংক শাখা- ১ টি
৩৫ =====সিনেমা হল-৫ টি ( হীরক ও তিথি সিনেমা হল অন্যতম )
৩৬ ===== উপজেলা হাসপাতাল-০১ টি (৫০ শয্যা), উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র-১০ টি, হাসপাতালে ডাক্তারের অনুমোদিত পদ-৩৮ টি, উপজেলা হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা-২ টি, উপজেলায় ইপিআই কাভারেজ-৯৩%, জন্ম নিয়ন্ত্রণ কাভারেজ-৬৮%, উপজেলায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার-৭৬% উপজেলা হাসপাতালে আই এম সি আই চালু হয়েছে চালু আছে, উপজেলা হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন ১ টি
৩৭ =====উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প সংখ্যা-২ টি, পুনর্বাসিত পরিবারের সংখ্যা -৯ টি
৩৮ =====আদর্শ গ্রামের সংখ্যা-৪ টি, পুনর্বাসিত পরিবার সংখ্যা-৪০ টি
৩৯ ===== অর্পিত সম্পত্তির পরিমান (একরে)- ১১০৫.০৫
৪০ =====খাস জমির পরিমান (একরে)-১২১০.০৫
৪১ =====জল মহালের সংখ্যা - ১৯৫ টি
৪২ ======আবাদি জমির পরিমান -৩৭০০০ হেক্টর, এক ফসলী জমির পরিমান-১৮১৫ হেক্টর, দো- ফসলী জমির পরিমান-২২৫৭০ হেক্টর, তিন ফসলী জমির পরিমান -১১৩৬৫ হেক্টর, চার ফসলী জমির পরিমান-১০৫০ হেক্টর ।
৪৩ =====অর্থকরী ফসল- ১৫০০ হেক্টর
৪৪ =====সরকারী হাট-বাজারের সংখ্যা- ২ টি
৪৫ =====প্রধান প্রধান হাট বাজার গোলাপবাগ, কামদিয়া,কাটাবাড়ী , কোমরপুর কাটাখালী বালুয়া ,ফাঁসিতলা, মহিমাগঞ্জ হাট-বাজার
৪৬ =====সরকারী প্রাণিসম্পদ দপ্তর- ১ টি, ইউনিয়ন প্রাণি চিকিৎসা উপ-কেন্দ্র- ৩ টি
৪৭ =====স্যানিটেশন কাভারেজ- ৯৫%
৪৮ =====নলকূপের পানি পান করে -১০০%
৪৯ ===== মোট রাস্তার পরিমান- ১১৩৬ কি.মি. ; কাঁচা রাস্তা -৯০৬ কি.মি., পাকা রাস্তা - ২৪০ কি.মি., ব্রীজ/কালভার্-ট ১৩৭৫, এইচবিবি রাস্তা- ১৩ কি.মি., সিসি রাস্তা- ০২ কি.মি.
৫০ =====ডাকঘরের সংখ্যা - ২৬ টি
৫১ =====টেলিফোন এক্সচেঞ্জ- ১ টি
৫২ =====রেল স্টেশন- ১ টি ( মহিমাগঞ্জ এ )
৫৩ ===== পত্র-পত্রিকাঃ বাঙ্গালী ও কাটাখালী (দৈনিক), রাজা বিরাট (সাপ্তাহিক)
৫৪===== উপজেলায় কর্মরত এনজিও সংখ্যা- ৪০ টি - ব্র্যাক , আশা , গ্রামীণ ব্যাংক , স্বনির্ভর, অংকুর ও টিএমএমএস অন্যতম ।
প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঐতিহাসিক স্থান
প্রাচীন মাস্তা মসজিদ
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ০৩ কি.মি. দক্ষিণে এবং কামারদহ ইউনিয়নের ফাঁসিতলা বাজার হতে ০১ কি.মি. উত্তরে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে মাস্তা মসজিদ অবস্থিত । যে কোন যানবাহন ব্যবহার করে মাস্তা মসজিদে যাওয়া যায় । গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পুরাতন মসজিদ গুলোর মধ্যে প্রাচীন মাস্তা মসজিদ স্থাপত্যের অপর একটি নিদর্শন । কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা গ্রামের প্রাচীন লাল মসজিদটিই 'মাস্তা মসজিদ' নামে পরিচিত । মসজিদ এলাকার জনশ্রুতি মতে এককালে এ এলাকায় বাদশা ফকির নামে একজন প্রভাবশালী ও ধর্মপরায়ন ব্যক্তির বাস ছিল । তিনি এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন । তাঁর ও তাঁর উত্তারসুরীর আসল পরিচয় আজও মেলেনি । প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কোন সময় নির্মিত হয়েছে তা কোন সূত্র থেকেই আজও জানা যায়নি । তবে মসজিদের নির্মাণ কৌশল ও মোঘল আমলের মসজিদ স্থাপত্যের বৈশিষ্ঠ্যের সূত্র ধরে অনুমান করা যায় মাস্তা মসজিদটি মোঘল আমলের কোন এক সময় নির্মিত হয়েছিল । মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৫ ফুট এবং প্রস্ত ১৬ ফুট । চার কোণে চারটি স্তম্ভ রয়েছে । একই আকারের তিনটি গম্বুজ আছে । দরজা তিনটি । কোন জানালা নেই । ভিতরে দুই সারিতে নামাজ আদায় হয়ে থাকে ।
শিল্প প্রতিষ্ঠান
উত্তরবঙ্গ এর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একমাত্র ভারী শিল্প হচ্ছে রংপুর সুগার মিলস ও কোল্ড স্টোরেজ
রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড
নির্মাণ তারিখ : ১৯৫৪, নির্মাণ কাজ শেষ : ১৯৫৭
পরিক্ষা মূলক উৎপাদনঃ দৈনিক উৎপাদন ১৫০০, বাৎসরিক চিনি উৎপাদনঃ ১৫০০০ মেঃ টন
ফ্যাক্টরি ও আবাসিক ক্ষেত্রঃ ৮১,১১ একর
ফার্ম : ১৮৪০ টি
ট্রেনিং কমপ্লেক্স : ১ টি
- হাই স্কুল : ১ টি
- ক্লাব : ২ টি
- চিকিৎসা কেন্দ্র : ১ টি
যোগাযোগঃ
রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড ( বাংলাদেশ চিনি ও কর্পোরেশন এর একটি প্রতিষ্ঠান )
মহিমাগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা, ই-মেইল : [email protected], ফোনঃ ০৩৮৫১-৬৫০৪৬২ ।